সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ, পীরযাত্রাপুর, বাকশিমূল ও রাজাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠের মৌসুমী পতিত জমিতে এ বছর আউশ আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে বাকমিমূল ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে ১০ হেক্টর, ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের এতবারপুর গ্রামে ৪ হেক্টর ও বুড়িচং ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের ৩ হেক্টরের নতুন আউশের মাঠ উল্লেখ্যযোগ্য। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, লাভজনক আউশ আবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে ৭০০ জন কৃষকের মাঝে কৃষি প্রণোদোনা, ৮০ জন কৃষকের মাঝে ফলোআপ বীজ সহায়তা ও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিয়ে ১২০ জন কৃষকের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
মৌসুমী পতিত জমিতে আউশ আবাদ বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণকারী অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় বাসসকে জানান, বৃষ্টির পানিতে চাষ হয় বিধায় আউশ ধান আবাদের খরচ তুলনামূলক কম। ভূগর্ভস্থ পানি সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও আউশ আবাদ পরিবেশবান্ধব। গত মৌসুম থেকে বুড়িচং উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামের মৌসমী পতিত জমিতে আউশ আবাদ সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। গত বছর ৪১০০ হেক্টর জমিতে আউশ অর্জিত হয়েছিল। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩১০ হেক্টর।